মক্কা শরিফের দর্শনীয় কিছু স্থান ( মুসলমানদের কিবলা কাবাঘর )
মক্কা শরিফের দর্শনীয় কিছু স্থান
ইসলামের ইতিহাসে ৬৩১ খ্রিস্টাব্দে নবম হিজরিতে হজের বিধান ফরজ হয়। পরের বছরে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ আদায় করেন।
তিনি যেখানে, যে সময়ে, যে তারিখে, যে নিয়মে যেসব আহকাম-আরকান পালন করেন, প্রতিবছর ৮ থেকে ১৩ জিলহজ মক্কা মোকাররমা এবং এর ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট নিয়মে সেভাবেই পবিত্র হজ পালিত হয়।
বছরের চাকা ঘুরে আবারও হজ মৌসুম শুরু হয়েছে। হজ পালন উপলক্ষে এখন মক্কায় অবস্থান করছেন বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা। এবার প্রায় ৩০ লাখ মুসলমান হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করবেন। হজ ও ওমরার অবসরে দেখতে পারেন দর্শনীয় বেশ কিছু স্থান। সে সব স্থানের অন্যতম হলো-
কাবাঘর: মুসলমানদের কিবলা কাবাঘর। এটা আল্লাহতায়াআলার এক অপূর্ব সৃষ্টি। হজের মৌসুমে প্রতিবছর লাখ লাখ মুসলমান কাবাঘর তাওয়াফ করতে মক্কায় গমন করেন। পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে মক্কা নগরীর অবস্থান হওয়ায় আল্লাহতায়ালা ‘বায়তুল্লাহ’ বা ‘কাবাঘর’ মক্কাতেই স্থাপন করেন। আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতারা সর্বপ্রথম দুনিয়াতে কাবাগৃহ নির্মাণ করে এখানে ইবাদত করেন। কাবাঘরটি আল্লাহর আরশে মুয়াল্লার ছায়াতলে সোজাসুজি সপ্তম আসমানে অবস্থিত সম্মানিত মসজিদে বাইতুল মামুরের আকৃতি অনুসারে ভিত্তি স্থাপন করা হয়।
আল্লাহতায়ালা কাবাগৃহকে মানব জাতির ইবাদতের কেন্দ্রস্থলরূপে নির্দিষ্ট করেন। কাবাঘর প্রায় বর্গাকৃতির। এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে আনুমানিক ৪৫ ও ৪০ ফুট। কাবা শরিফের দরজা একটি এবং দরজাটি কাবাঘরের পূর্ব দিকে অবস্থিত। কাবাঘরের চারদিকে অবস্থিত তওয়াফের স্থানকে ‘মাতাফ’ বা চত্বর বলা হয়।
আলহামদুলিল্লাহ। হে আমার রব সবাইকে হজ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
ReplyDelete#Hajj packages from Bangladesh